সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রানা প্লাজা ট্রাজেডি-উত্তর পোশাক খাতের সুশাসন নিশ্চিতকরণে সরকার ও বিভিন্ন অংশীজন বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ পর্যালোচনায় টিআইবি ধারাবাহিকভাবে গবেষণা পরিচালনা করে আসছে।
প্রতিবেদনে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে নেওয়া পদক্ষেপের পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত এক বছরে চলমান ৬৮টি উদ্যোগের ক্ষেত্রে ছয়টি উদ্যোগ সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৯টি বাস্তবায়নে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে, ১০টি বাস্তবায়নে ধীর গতি দেখা গেছে এবং ১৩টি বাস্তবায়নে স্থবিরতা পরিলক্ষিত হয়।
সুশাসনের অন্তরায় দূরীকরণে ২০১৬ পর্যন্ত সরকার ইপিজেড শ্রম আইন মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে, ইপিজেড শ্রমিকদের আইনগত সুবিধা দিতে ইপিজেড শ্রম আদালত ও শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং শ্রম বিধিমালা পাস করেছে।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রায় ৯৫ শতাংশ কারখানায় ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে মজুরি দেওয়া হচ্ছে, অধিকাংশ কমপ্লায়েন্স কারখানায় শ্রমিকদের জরুরি নম্বরসহ পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
বিজিএমইএ শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট এর ‘সিপ’ প্রজেক্টের আওতায় ৪৩ হাজার ৮০০ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী চাকরির ব্যবস্থা করছে।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তায় গঠিত বিভিন্ন তহবিল থেকে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার সফলভাবে বিতরণ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন